Type Here to Get Search Results !

[Cerebrum HACKER,DOPAMIN]ফেসবুক ও ইউটিউবের মত মাধ্যম গুলো বানাচ্ছে ব্যাবহারকারীদের আসক্ত করার প্রোগ্রাম,যার নেশা মাদকের থেকেও ভয়ঙ্কর,হতে পারেন স্থায়ী সমস্যার সম্মুখীন।

 Facebook utilizes DOPAMIN: 



আপনার সাথে কি কখনো এমন হয়েছে?আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলেন,মোবাইল টা নিয়ে ডাটা অন করার সাথে fb নোটিফিকেশন আসলো।সেটা কি দেখার জন্য ক্লিক করলেন,তারপর লাইক,কমেন্ট,স্ক্রলিং করতে কখন যে দুই ঘণ্টা চলে গেলো কোনো খবর নাই।আপনার লাইফের দুইটা ঘণ্টা হুদাই নষ্ট করে ফেললেন।চিন্তা করবেন না,এটা একেবারেই সভাবিক।আজকালকার অধিকাংশ 


সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এমন ভাবে ডিজাইন করা,যা আপনার ব্রেইন থেকে অটোমেটিক ডোপামিন রিলিজ করবে।চলুন এখন fb এর কেমনে অটোমেটিক ডোপামিন রিলিজ করে সে সম্পর্কে জেনে নেই।


Fb তে যখন আপনি কারো সম্পর্কে জানতে চান,তাকে আগে রিকুয়েস্ট পাঠাতে হয়,যখন আপনি কোন পোস্ট পছন্দ করেন,সেটা লাইক, রিয়েক্ট,কমেন্ট করে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেন।fb চায় আপনি যত সম্ভব সময় তাদের মাধ্যমে ব্যায় করেন।কারণ তাদের স্টক মার্কেট ডিপেন্ড করে,ইউজার ডাটা সেলিং এর উপর। আপনি যতো বেশি fb তে থাকবেন তারা ততো বেশি ডাটা কালেক্ট করতে পারবে ও সে ডাটা বিক্রি করে কোম্পানি ফান্ড বাড়াতে পারবে। তারা এ ডাটা কালেক্ট করা জন্য যেকেনো কিছুই করবে। পারলে ১৮+ কন্টেন্ট ও আপনার টাইমলাইন এ দেখবে যাতে আপনি আরো বেশি সময় ধরে fb ইউজ করেন।এখন চলুন আরেকটু ডিটেইল জেনে আসি।

Dale Carnegie, তার লেখা বই,"How to make companions and impact individuals" এ লিখেছেন বন্ধু বানাতে হলে আপনার অবশ্যই হাসতে হবে,শুনতে হবে,ইন্টারেস্টিং হতে হবে, অপর পাশের লোকটিকে ইম্পর্টেন্ট ফিল করতে হবে।যা, correspondence guideline নামেও পরিচত।যার মানে হলো কারো বন্ধু হতে হলে আগে তাকে বোঝাতে হবে,আপনি তার বন্ধু।fb ও এই একই পদ্ধতি ব্যাবহার করে।যেমন:আপনি নিজের অজান্তই লাইক পাওয়ার জন্য অন্যের পোস্ট লাইক করেন যাতে সে পরে আপনার পোস্টে লাইক করে। সুতরাং লাইক, শুধু একটি ভাবনা প্রকাশের মাধ্যম নয়, সামাজিক যোগাযোগের পদ্ধতি।যেটা আপনার ব্রেইন কে বন্ধুত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায়।তাছাড়াও,মানুষ সামাজিক প্রাণী।সবসময় কোনো দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকতে চাই।তাই যখন আপনি কোনো পোষ্ট লাইক করেন,তখন আপনার ব্রেইন মনে করে,আপনি বন্ধু বানিয়েছেন বা কোনো দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।যেটা আপনার ব্রেইন এ reward framework চালু করে আপনাকে রিওয়ার্ড দে ও ডোপামিন রিলিজ করে।আসলে এ রিওয়ার্ড সিস্টেম অন হয় কারো সাথে কথা বললে,কিন্ত আপনার ব্রেইন এটা fb discussion এর সাথে গুলিয়ে ফেলে। 



আপনারা কি জানেন?২০১৬এর আগে fb তে রিয়েক্ট বাটন ছিলনা।এর মূল কারণ হলো ডাটা অ্যানালাইসিস সুবিধা।কারণ সাধারন টেক্সট থেকে রিয়েক্ট ডাটা অ্যানালাইসিস করা অনেক সোজা।তাছাড়া বেশি রিয়েক্ট বাটন আপনাকে বেশি মনের ভাব প্রকাশ করতে দে,তাতে আপনি বেশি সময় ধরে fb ইউজ করেন,এতে fb লাভবান হয়। 


বৈজ্ঞানিক চার্লস ডারউইন,এর মতে দুনিয়াতে মোট ছয় ধরনের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন আছে। 


১.joy 


২.surprise 


৩.sadness 


৪.anger 


৫.disgust 


৬.fear 


Fb এই এক্সপ্রেশন গুলাকেই রিয়েক্ট হিসেবে ইউজ করলো যাতে আপনি আরো বেশি ইমোশনালি অ্যাটাচ থাকেন ও fb তে বেশি টাইম ব্যায় করেন। 


এখন আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে,fb কি শুধু ডাটা চুরি করার জন্য ডোপামিন ইউজ করে? না, এ পৃথিবীতে মানুষের উপর জে ভার্চুয়াল পরীক্ষা হয়,তার সবগুলোই তাদের ডাটা ইউজ করে করা হয়। এমনকি তারা আপনার নিউজফিড কন্ট্রোল করে আপনার উপর পরীক্ষা চালায় বিভিন্ন বিষয়ে।বলতে গেলে লেবের গিনিপিগ এর মতো অবস্থা আরকি। 


তো আপনি হয়তো চিন্তা করছেন তাহলে fb ডিলিট বা ডিএকটিভ করে দিলে কি হয়?না তারপরও হবেনা।আসলে fb বন্ধ করলেও আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে আপনি অন্যান্য সাইটে প্রবেশ করা বন্ধ করতে পারবেন না।আজকাল বেশিরভাগ সাইটে প্রবেশ করলে fb আইকন দেখতে পারেন।যেটা আসলে tracker হিসেবে কাজ করে ও আপনার ডাটা চুরি করে।আপনার মেইল,নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তারা গোপনে একটি প্রোফাইল খুলে আপনার সকল ডাটা সেখানে store করে রাখবে। পরে সেটা অন্য কোনো organization কে বিক্রি করে দিবে।

আজ এ পর্যন্তই।

ধন্যবাদ। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.